হালাল উপার্জনের মাদানী ফুল
প্রিয় ইসলামী বােনেরা! আসুন! হালাল রিযিক উপার্জন সম্পর্কীত কয়েকটি মাদানী ফুল শ্রবণ করার সৌভাগ্য অর্জন করি। প্রথমে প্রিয় নবী صَلَّی اللّٰهُ تَعَالٰی عَلَيۡهِ وَاٰلِهٖ وَسَلَّم এর দু’টি বাণী প্রত্যক্ষ করুন: (১) পবিত্র রিযিক উপার্জনকারীর জন্য জান্নাত রয়েছে। (মু'জামু আওসাত, ৫/৭২, হাদীস নং- ৪৬১৬)
(২) হালাল রিযিক অন্বেষণ করা ফরয সমূহ আদায় করার পরের একটি ফরয। (মু'জামু আওসাত, ১০/৭৪, হাদীস নং- ৯৯৯৩)
* মালিক ও কর্মচারী উভয়ের জন্য প্রয়ােজন অনুযায়ী ইজারা (চুক্তি) সংক্রান্ত শরীয়তের মাসআলাগুলাে শিখা ফরয, না শিখলে, গুনাহগার হবে। (হালাল পন্থায় উপার্জনের ৫০টি মাদানী ফুল, ৬ পৃষ্ঠা)
* কর্মচারী রাখার সময় চাকুরীর সময়সীমা, দায়িত্ব পালনের সময়সূচী এবং বেতন ইত্যাদি প্রথমেই চূড়ান্ত ও নির্ধারিত হওয়া জরুরী। (প্রাগুক্ত, ৬ পৃষ্ঠা)
* কর্মচারী অফিসে কিংবা দোকান ইত্যাদিতে রেজিস্টার খাতায় আসা ও যাওয়ার সঠিক সময় লিখবে। কেউ যদি মিথ্যা সময় লিখে এবং ডিউটি কম করা সত্ত্বেও পূর্ণ বেতন গ্রহণ করে, তবে সে গুনাহগার হবে এবং জাহান্নামের আযাবের হকদার হবে। (প্রাগুক্ত, ৯ পৃষ্ঠা)।
* বেতন বাড়ানাের জন্য এবং প্রতিষ্ঠান ইত্যাদিতে নিজের পদোন্নতির জন্য নকল সার্টিফিকেট নেওয়া নাজায়েয ও গুনাহ। (প্রাগুক্ত, ১০ পৃষ্ঠা)
* কর্মচারীদের উচিৎ ডিউটি কালীন সময়ে কাজের প্রতি সজাগ থাকা। অলসতা সৃষ্টিকারী কাজ থেকে বেঁচে থাকা। যেমন; রাতে দেরীতে শয়ন করা ইত্যাদি। (প্রাগুক্ত, ১০ পৃষ্ঠা)
* যেই ব্যক্তি ইজারা অনুযায়ী কাজ করতে পারে না, যেমন মুদাররিস, কিন্তু শুদ্ধভাবে পড়াতে পারে না, তবে তার উচিৎ তৎক্ষণাৎ (যার সাথে ইজারা করেছে তাকে) অবহিত করা। (প্রাগুক্ত, ১৩ পৃষ্ঠা)
* যদি নির্দিষ্ট সময়সীমা যেমন; ১২ মাসের জন্য চাকরীর চুক্তি হয়, তবে এখন উভয় পক্ষের সন্তুষ্টি ছাড়া চুক্তি ভঙ্গ হবে না, মালিকের অযথা ধমক দেওয়া যে, বিদায় করে দিব বা কর্মচারীর ছেড়ে চলে যাবার হুমকি দেয়া সঠিক নয়, তবে হ্যা, শরয়ী অপরাগতার কারণে উভয়ের মধ্য থেকে যে কেউ নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে চুক্তি শেষ করে দিতে পারবে। (প্রাগুক্ত, ১৪ পৃষ্ঠা)
* মুসলমানের জন্য অমুসলিমের নিকট এমন চাকরী করা নাজায়িয, যাকে মুসলমান অপমানিত হয়, যেমন: তার ঘর পরিস্কার করা, ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করা, গাড়ি পরিস্কার করা ইত্যাদি, তবে যেসকল কাজে মুসলমানের অপমান হয় না, তা করতে পারবে। (প্রাগুক্ত, ১৫ পৃষ্ঠা)
* চৌকিদার, গার্ড বা পুলিশ ইত্যাদি যাদের কাজ জাগ্রত থেকে পাহারা দেওয়া, ডিউটির সময় যদি ইচ্ছাকৃত ঘুমিয়ে পড়ে, তবে গুনাহগার হবে আর যতটুকু সময় ঘুমিয়েছে কিংবা অলসতা করেছে, সেই পরিমাণ বেতন কর্তন করাতে হবে। (প্রাগুক্ত, ২২ পৃষ্ঠা)।
_______________
কিতাব : দুনিয়া আমাদেরকে কি দিয়েছে
লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)
আপনাদের ফেইসবুক পেইজ এ লিংক দিলে উপকৃত হতাম
উত্তরমুছুনআচ্ছালামু আলাইকুম।
উত্তরমুছুনদু:খিত ভাইজান! এখনও অফিসিয়ালি কোন পেইজ নেই আমাদের। আপনার যদি কোন সহযোগীতার প্রয়োজন হয়,বললে সাধ্যমতো চেষ্টা করবো।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন